ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, লিওনেল মেসিরা না থাকায় এল-ক্লাসিকোর সেই জৌলুসটা হয়তো নেই। কিন্তু যে ‘হাইপ’ তাঁরা তৈরি করে গেছেন, এখনো রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা ম্যাচ ঘিরে থাকে উত্তাপ। স্প্যানিশ দুই ক্লাবের ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে কথার লড়াই জমে ওঠে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যু গতকাল হয়ে যায় কার্লো আনচেলত্তি-লুকা মদরিচময়। কারণ, এই দুজনকে আর যে কখনো দেখা যাবে না রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। ভক্ত-সমর্থকেরাও তাঁদের বিদায়ে হয়ে পড়েছেন আবেগপ্রবণ।
এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হননি জাবি আলোনসো। গুঞ্জন আছে, তিনি চেয়েছিলেন লুকা মদরিচ আরও এক মৌসুম রিয়াল মাদ্রিদে থাকুক। তবে ক্রোয়াট এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে চুক্তি আর বাড়ায়নি। তাই এই মৌসুম শেষেই রিয়ালকে বিদায় বলবেন মদরিচ। শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে থাকবে সান্তিয়াগো
চলতি মৌসুমে রক্ষণ বেশ ধুঁকেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ট্রফিশূন্য থেকেই শেষ করতে হচ্ছে মৌসুম। তবে আগামী মৌসুমে নিজেদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে চায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। মৌসুম শেষের আগেই তোড়জোড় চলছে নতুন খেলোয়াড় ভেড়ানোর দৌড়ে। এরই মধ্যে কয়েকটি সাইনও করিয়েছে তারা। আলেকজান্ডার অর্নল্ডের পর নতুন একজন সেন্টার...
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ-মায়োর্কা ম্যাচটা ১-১ গোলে ড্র হওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ঠিক সেই সময় ‘রিয়াল ম্যাজিক’। জাদুটা দেখিয়েছেন কে? জ্যাকোবো র্যামন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তাঁর পথচলাটা কেবল চার মাসের।
বার্সেলোনার ২০২৪-২৫ মৌসুমের লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এখনো শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গত রাতে জয়ের পর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে রিয়ালের।
বিশ্বের সেরা ক্লাব থেকে কার্লো আনচেলত্তির ঠিকানা এখন ব্রাজিলে। দীর্ঘ দিন লেগে থাকা পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের যেন আকুতিই মেটালেন ৬৫ বছর বয়সী ইতালিয়ান কোচ। নিজেদের পছন্দের কোচকে পেয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও (সিবিএফ) বেশ উচ্ছ্বসিত। কোচকে সুখে রাখতে কোনো কিছুরই কমতি রাখতে চাইছে না তারা।
শিরোপাশূন্য মৌসুম কাটানোর পথে রিয়াল মাদ্রিদ। কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে লস ব্লাঙ্কোসদের অধ্যায়ও শেষ হচ্ছে জুনে—কদিন ধরে এটাই হচ্ছিল আলোচনা। ইতালিয়ান কোচের পর রিয়ালের হাল ধরবেন কে? এ দৌড়ে একজনের নামই সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছিল—জাভি আলোনসো।
এই না হলে এল ক্লাসিকো! বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের স্কোরলাইন ৪-৩ বলেই শুধু নয়। উত্তেজনায় পরিপূর্ণ এল ক্লাসিকোতে রেফারি আলেহান্দ্রো হার্নান্দেজ হার্নান্দেজও পড়েছেন বিতর্কের মুখে।
এবারের এল ক্লাসিকোই কি তবে কার্লো আনচেলত্তির জীবনের শেষ এল ক্লাসিকো—এমন আলোচনা চলছে অনেক ধরেই। এস্তাদি অলিম্পিক কোম্পানিজ লুইজ স্টেডিয়ামে গত রাতে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ শেষে আবার এল এই প্রশ্ন। আনচেলত্তি একটু কৌশলেই উত্তর দিয়েছেন।
স্প্যানিশ সুপার কাপ, লা লিগা এবং কোপা দেল রের ফাইনাল মিলিয়ে এই মৌসুমে তিন সাক্ষাতের তিনবারই বার্সেলোনার কাছে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তিন ম্যাচের তিনটিতে কমপক্ষে ৩ গোল করে হজম করতে হয়েছে বার্নাব্যুর দলটিকে। তাই আজ আরেকটি এল ক্লাসিকোয় অনেকের কাছে ফেবারিট বার্সেলোনা। আর জেতার জন্য প্রেরণাও আছে...
আন্টনিও রুডিগারের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা গত কদিন ধরেই। ২৬ এপ্রিল বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালে তেড়ে গিয়েছিলেন রুডিগার। রিয়াল মাদ্রিদের এই ডিফেন্ডার এবার পেলেন কড়া শাস্তি।
কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের হারে কিছুটা খুশি হওয়ার কথা ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনও (সিবিএফ)। দুঃসময় পার করা ব্রাজিলের ডাগআউটে প্রথম পছন্দ এখন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত এ ইতালিয়ান কোচের চুক্তি রয়েছে। কিন্তু শিরোপাহীন মৌসুম কাটানোর আশঙ্কা জেগেছে লস
কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে শিরোপা হারানোর ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুদিগার। ম্যাচের শেষ দিকে কিলিয়ান এমবাপ্পের বিরুদ্ধে একটি ফাউলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন রুদিগার এবং তাঁর সতীর্থ লুকাস ভাসকেস। তাঁরা বদলি হয়ে ডাগ আউটে থেকেই রেফারির সিদ্ধান্তে তীব্র...
সাড়ে তিন মাস পর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। কোপা দেল রের ফাইনালে গত রাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার বিপক্ষে রিয়াল লড়াই করে সমানে সমানে। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় বার্সা।
আবারও সেই রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার আরও একটি শিরোপা জয়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ে এবার জিতল কোপা দেল রের শিরোপা। হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার লক্ষ্য এবার ট্রেবল জয়।
এল ক্লাসিকোউ উত্তাপ, উন্মাদনা আর রোমাঞ্চ না থাকলে হয় নাকি। সবকিছু মিলিয়ে ফাইনালটা হলো ফাইনালের মতো করেই। পাঁচ গোলের এই থ্রিলারে শেষ হাসি হেসেছে বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে কোপা দেল রের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।